শিশুদের মধ্যে কান ব্যথা হওয়ার প্রবণতা একটু বেশিই দেখা যায়। সাধারণত ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এ ধরনের সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে কানে ব্যথা হতে পারে। কানে বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করাতে হবে।
শিশুদের জন্য কান ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার:
তুলসী পাতা: কয়েকটি তুলসী পাতা ছিঁড়ে নিয়ে সেগুলিকে চূর্ণ করে তার নির্যাস বের করে নিন এবং তার থেকে কয়েক ফোঁটা কানের ভিতরে দিন। কখনোই সব এক সাথে ব্যবহার করবেন না।
পুদিনা পাতার রস: ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহরোধ করে। কয়েকটি পুদিনা পাতা থেঁতলে রস বের করুন। দুই ফোঁটা রস কানে দিন। কানের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এটি খুব প্রচলিত ঘরোয়া উপায়।
পরিষ্কার কাপড়: কানে ব্যথা হলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে হালকা স্যাঁক নেওয়া যেতে পারে। তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে যতটা পানি মুছে নেওয়া যায়, মুছে নিন। বাকিটা ঠিক সময় মতো বেরিয়ে যাবে।
গরম সেঁক: তোয়ালে দিয়ে শিশুর কানে সেঁক দিন। গরম সেঁক যে কোনো ব্যথায় খুব কাজ করে। শিশুকে সেঁক দেয়ার সময় নিজের কনুই দিয়ে তোয়ালে বা পোঁটলার উষ্ণতা দেখে নিন। সেঁক যেন আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
রসুন: দু কোয়া রসুনকে থেঁতো করে নিয়ে সেটিকে কিছুটা তিল তেলের সাথে গরম করুন। এবার একটি পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে তেলটিকে ছেঁকে নিন এবং এই রসুন তেলটিকে কানের ভিতরে প্রভাবিত এলাকায় এবং তার চারপাশের অঞ্চলে প্রয়োগ করুন।
জলপাই তেল: একটি পরিষ্কার পাত্রের মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণ জলপাই তেল নিয়ে দেহের তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত সেটিকে গরম করুন। একটি পরিষ্কার ইয়ারবাড দিয়ে সেই তেলটিকে কানের ভিতর প্রভাবিত এলাকায় এবং তার চারপাশে হালকা করে প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত তেলের ফোঁটা ঝরে পড়া এড়াতে আপনি তোয়ালে ব্যবহার করা নিশ্চিত করুন।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.