অসুস্থতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় কারণে আপনার শিশুর বমি হতে পারে। শিশুদের বমি করা কোনও রোগ বা অসুস্থতা নয়, কিন্তু শিশু ঘনঘন বমি করলে অথবা বমির সময় সে ব্যথা পাচ্ছে এ বমি থেকে রিফ্লাক্স ইসোফ্যাজাইটিস হতে পারে। এ কন্ডিশনে পাকস্থলির অ্যাসিড খাদ্যনালিকে উক্ত্যক্ত করে এবং এটির জন্য মেডিক্যাল চিকিৎসকের কাছে নেয়া প্রয়োজন হয়।
বমির উপসর্গগুলির নিরাময় করতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার:
তরল গ্রহণ বৃদ্ধি করুনঃ বমি আপনার সন্তানকে কাহিল করে দিতে পারে এবং হারিয়ে যাওয়া শক্তি পুনরুদ্ধারের সর্বোত্তম উপায় হল তরল খাদ্য গ্রহণ। আপনার সন্তানকে আবার কঠিন খাবার খাওয়ানো আগে তার হজম আগের মতো অবস্থানে আসার সময় দিন। সবজির হালকা স্যুপ,সাধারণ ঝোল এবং আইস ক্রীম হল এ সকল খাদ্য বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।
আদার রস এবং মধু ব্যবহারঃ ছোট এক টুকরো আদা ঘষে নিয়ে চিপে রস বের করে নিন এবং এরপর সেটির সাথে কয়েক ফোঁটা মধু যোগ করে রসটিকে সুস্বাদু করে তুলুন। আদা এবং মধু কেবল বমি ও গা গুলানোই নিরাময় করে না এটি কিন্তু আবার হজম প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে।
পুদিনার রস: কয়েকটি তাজা পুদিনার পাতা পিষে নেওয়ার পর সেটির থেকে নির্যাস বের করে নিন(1 চামচ)। এবার পুদিনার রসের সাথে 1 চামচ লেবুর রস মেশান। সন্তানকে কয়েকটি তাজা পুদিনা পাতা চিবোতে দিতে পারেন।
দারুচিনি চা ব্যবহার: এক কাপ পানিতে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো যোগ করে কয়েক মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিয়ে দারুচিনির চা তৈরী করতে পারেন। এরপর ছেঁকে নিয়ে তার সাথে মধু যোগ করে পান করতে দিন। দারুচিনি পেটকে প্রশমিত এবং শান্ত করতে সাহায্য করে।
ভাতের মাড়: গ্যাস্ট্রাইটিসের কারণে হওয়া বমির চিকিৎসায় ভাতের মাড় সাহায্য করে। ভাত রান্না হয়ে গেলে, অতিরিক্ত ভাতের মাড়কে ঝরিয়ে নিন এবং সেটি বাচ্চার বমি বন্ধ করতে মাড়টিকে পান করতে দিন।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখার পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]]
Comments are closed.