গরমের সময়ে প্রাণ জুড়াতে তরমুজের জুড়ি নেই। রমজান মাস চলছে। সারাদিন রোজা থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তৃষ্ণাও বেশি দেখা দেয়। একই সাথে শরীরে পানিশূন্যতারও সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানে তরমুজ বেশ কার্যকারী। তাই ইফতার বা ইফতার পরবর্তী সময়ে এ ফল খেতে পারেন। ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফল আপনাকে রোজায়ও সতেজ রাখতে কাজ করবে।
হার্ট ভালো রাখবে: তরমুজে থাকে সাইট্রুলাইন নামক বিশেষ এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যামাইনো অ্যাসিড স্বাভাবিক রক্ত সংবহণে সাহায্য করে। একই সাথে কমায় ব্লাড প্রেশার। যে কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। তরমুজে থাকা লাইকোপেন উপাদান হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে কাজ করে এমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
জয়েন্ট ভালো রাখে: তরমুজে থাকে বিটা ক্রিপটোজ্যানথিন নামক একটি প্রাকৃতিক পিগমেন্ট। এই উপাদান অস্থিসন্ধির প্রদাহ দূর করতে কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপাদান রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে কাজ করে। যারা জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন, তারা এই ফল নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
চোখ ভালো রাখে: চোখ ভালো রাখতে কাজ করে তরমুজ। তরমুজের একটি বড় টুকরা খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৯-১১ শতাংশ ভিটামিন এ পাওয়া যাবে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা সারাতে এই ভিটামিন ভীষণ কার্যকরী। সেইসঙ্গে তরমুজে থাকে খনিজও। যে কারণে চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বড় ভূমিকা রাখে।
পানির ঘাটতি দূর করে: গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। রোজা থাকার কারণে সেই ঘাটতি দিনের বেলা মেটানো সম্ভব হয় না। তাই ইফতারে রাখতে পারেন তরমুজ। এতে শরীর তো ঠান্ডা হবেই, সেইসঙ্গে শরীরে ঘাটতিও মিটবে। তবে খেয়াল রাখবেন, তরমুজ কিন্তু পানির বিকল্প নয়। তাই ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
ত্বক ভালো রাখে: ত্বক ভালো রাখার কাজেও সাহায্য করে তরমুজ। রসালো এই ফলে আছে ভিটামিন এ, বি৬, সি। এই ভিটামিনগুলো ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। তাই ইফতারে তরমুজ রাখুন।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.