কিডনি থেকে পানির মাধ্যমে প্রস্রাব তৈরি হয়। প্রস্রাবের মাধ্যমে আমাদের শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। যার ফলে শরীরের যাবতীয় রেচন পদার্থ বেরিয়ে যায়। যা আমাদের সুস্থ থাকা সহজ হয়। ব্যাকটেরিয়ার কারণে প্রস্রাবের পুরো প্রক্রিয়াতে সমস্যা তৈরি হয়। ফলে সৃষ্টি হয় জ্বালা, যন্ত্রণা। এই সমস্যা পুরুষের চেয়ে নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দেখা দিলে দ্রুত ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করতে হবে।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর করতে মেনে চলতে পারেন এই ঘরোয়া উপায়গুলো:
লেবুপানি পান করুন: প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যায় লেবুপানি পান করলে অনেকটা উপকার পাবেন। প্রতিদিন সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রস এক চা চামচ মিশিয়ে নিলেই যথেষ্ট। এভাবে কয়েকদিন পান করলেই সমস্যা কমে আসবে। এর কারণ হলো লেবুর রসে আছে ভিটামিন সি। একইসাথে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও ভরা।
পানি পান করুন: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়ম মেনে পানি পান না করলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া তৈরি হয়। অনেকের অভ্যাস আছে পানি কম পান করার। তাদের এই সমস্যা হতে পারে। পানি কম পান করলে প্রস্রাবও কম হয় বা হতে চায় না। তখন মূত্রনালীতে জীবাণু বংশবিস্তারের সময় পেয়ে যায়। এদিকে পর্যাপ্ত পানি পান করলে প্রস্রাবের সঙ্গে জীবাণুও বের হয়ে যায়।
শসার জুস খান: প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর আরেকটি কার্যকরী উপায় হতে পারে শসার জুস খাওয়া। শসায় আছে অনেক উপকারিতা। এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমাতে চাইলে শসার জুস তৈরি করে খাওয়া বেশি উপকারী। প্রথমে শসার জুস তৈরি করে তার সঙ্গে সামান্য মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
ডাবের পানি পান করুন: ডাবের পানি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে তা দূর করতে এটি খুব ভালো কাজ করে। ডাবের পানি পান করলে তার মাধ্যমে শরীরে অনেকটা ইলেক্ট্রোলাইট প্রবেশ করে। শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে এই উপাদান। তাই নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন।
ঘরোয়া উপায় মেনে চলার পরও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া না কমলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন
[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]
Comments are closed.