পাকা তাল খাবেন কেন?

পাকা তালের তৈরি খাবার কমবেশি সকলের বেশ প্রিয়। পাকা তালের রস থেকে নানা ধরনের পিঠা-পায়েস তৈরি হয়। যা খেতেও বেশ দারুণ সুস্বাদু। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ আরও অনেক খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে আরও আছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

জেনে নিন পাকা তালের  স্বাস্থ্য উপকারিতা:

১. পাকা তালের খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রামে জলীয় অংশ ৭৭.২ গ্রাম, খনিজ০.৭ গ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, আমিষ ০.৭ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম শর্করা ২০.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯ মিলিগ্রাম ও খাদ্য শাক্তি ৮৭ কিলোক্যালরী রয়েছে। তালের রস শ্লেষ্মানাশক। এটি মূত্রকর , প্রদাহ ও কোষ্ঠাঠিন্য নিবারণ করে। রস থেকে তৈরি তালমিসরি সর্দি কাশির মহৌষধ, যকৃতের দোষ নিবারক ও পিত্তনাশক।

২. তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষায়ও তাল ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৩. তালের রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে৷ ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল ভূমিকা রাখে। তালের রসে কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷

৪. তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল ভূমিকা রাখে।

পাকা তাল যেভাবে খাবেন

তাল খাওয়ার নানা উপায় রয়েছে। তবে পাকা তালের রস জ্বাল দিয়ে ঘন করে খেয়ে থাকেন অনেকে। এর সঙ্গে নারিকেল, দুধ, চিনি, কলা ইত্যাদি মিশিয়ে আরও নানা স্বাদের খাবার তৈরি হয়।

তালের বড়া: তালের ঘন নির্যাসের সঙ্গে ডিম, চালের গুঁড়া, চিনি এবং কখনো নারিকেল দিয়ে তালের পিঠা তৈরি করা হয়। গ্রামগঞ্জে এই পিঠার ঐতিহ্য রয়েছে।

তালের সেঁকা পিঠা: চিনি, দুধ, নারিকেল যোগ করে তালের ক্বাথ জ্বাল দিয়ে তার সঙ্গে চালের গুঁড়া বা আটা মিশিয়ে কলাপাতায় খামির রেখে চুলায় সেকে নিয়েও খেতে দেখা যায়।

তালসত্ত্ব: তালের রস ও চিনি দিয়ে বানানো হয় তালসত্ত্ব। এটি রোদে শুকিয়ে সারা বছর খাওয়া যায়। অনেকে ভাত ও দুধের সঙ্গে এই তালসত্ত্ব খেয়ে থাকেন।

তালের কেক: কেকের সব উপকরণের সঙ্গে তালের রস মিশিয়ে কেক বানানো হয়। তালের কেকের মধ্যে চিনি কম এবং ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগীদের জন্য ভালো খাবার হতে পারে।

তালের জুস: তালের ক্বাথ, দুধ, চিনি দিয়ে জুস বানানো যায়। প্রচণ্ড গরমে তালের জুস পান করলে শারীরিক দূর্বলতা ও ক্লান্তিভাব দূর হয়।

আজকাল তাল দিয়ে জিলাপি, রসমালাই, রোল, পুলি পিঠা, তালের বড়া ইত্যাদিও তৈরি করতে দেখা যায়। তাল-দুধ, তাল-মুড়ি, আঁটির ভেতরের সাদা শাঁস খুবই মুখরোচক খাবার।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন
“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]

Comments are closed.