“এক রোমাঞ্চময় রাত” শেষ পর্ব

রাজা তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন তার স্ত্রী ও খুব ভালোবাসতো তাকে। খুব ভালো সময় কাটাচ্ছিলো তারা। একদিন রাজা জানতে পারে তার স্ত্রী তাকে ঠকাচ্ছে। সে আসলে ভালোবাসে অন্য একজন কে!। রাজা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এ রাজ্যের পাঠশালার এক শিক্ষক এর সাথে রানীর আগে থেকে প্রণয় ছিল। ইদানিং আবার তাদের প্রনয় ঘটে।

রানীর বাবার জোর এর তাড়নায় সে বিয়ে করে ফেলে। কিন্তু মহারাজ রাণীকে কোনো দিন একটুও কষ্ট দেয় নি। রাণীর এ কাজটি তাকে খুব কষ্ট দেয়। সে ছিলো খুব আত্মসম্মান বাদী, যদি তার রাজ্যের মানুষজন যদি জানতে পারে তার স্ত্রী সম্পর্কে…তার সন্মান এক বিন্দুও থাকবে না। তাই সে মনে মনে একটা কিছু ভাবলো। হঠাৎ একদিন সে ঘোষণা করলো আজ তার রাজবাড়িতে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠান হবে। খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে, সবাই আসতে লাগলো।

রাজা রানী একসাথে নিচে নেমে গেলো। রানী দেখতে পেলো মুসাবিরও (রাণীর প্রেমিক) এসেছে। রানী কিছুটা অবাকও হয় আবার মুসবিরকে দেখে খুশি হয়ে যায়। সকলকে শুভেচ্ছা জানায় তারা। তারপর মহারাজা সকলে নিয়ে একসাথে খেতে বসে। সবাই খেতে থাকে আর জানতে চায় হঠাৎ সবাই সমবেত হওয়ার কারণ কি মহারাজ! তারপর মহারাজ সবার সামনে রানীর সব কথা বলে। তবে কারো কাছে থেকে কোনো সাড়া শব্দ আসছে না বরং সব নিশ্চুপ। রানী হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠে। রানী দেখে খাবার টেবিলে সবাই বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছে।এমনকি মুসবিরও।

পড়ুন“এক রোমাঞ্চময় রাত” পর্ব-১

রানী ভয়ে কষ্টে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে থাকে।  মহারাজ একটু পর রানীর দিকে হেসে কপালে একটা চুমু দিয়ে উপরে তার নিজে কক্ষে চলে যায়। ততক্ষনে রানীও মারা যায়।মহারাজ হাসতে থাকে আর ঘুমিয়ে যায়। এই ঘুম এ ছিল তার শেষ ঘুম। এরপর থেকে এই জমিদার বাড়ি এক কবরস্থান হয়েছে। যার ফলে আর কেউ এই বাড়িতে আসে না।

লোকটি এই কাহিনী বলা শেষ করে আমাকে বললো শুয়ে পড়ুন। এই বলে সে দরজার পাশের মশালটা জ্বালিয়ে দিয়ে গেলো। মশালটার আলোতে আমি বিশালাকৃতির একটা ছবি দেখতে পেলাম। ছবিটি স্বয়ং রাজার। ছবি দেখে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। মহারাজ আর ওই লোকটির চেহারার কোনো পরিবর্তন নেই। আমার কিছু বুঝতে বাকি রইলো না একটু পর পুরো বাড়ি জুড়ে হাসির শব্দে ভরে গেলো। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লাম……।

চোখ খোলার পর নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেলাম বাড়িটির সদর দরজার সামনে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে চলে আসলাম।

করোনার বিকালে

মো: সাহেল চৌধুরী
শিক্ষার্থী, অনার্স প্রথম বর্ষ, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ফেসবুক ক্লিক করুন

“ভয়েস অফ হ্যালো”র ইউটিউব ক্লিক করুন

[শিশুরাই তুলে ধরবে শিশুদের অধিকারের কথা, আপনিও লিখুন আপনার কথা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]]

Comments are closed.