“ওমিক্রন বাড়লেও স্কুল বন্ধের চিন্তা সবার শেষে”

আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের দুইজন নারী ক্রিকেটারও শণাক্ত হয়েছেন। এর আগে করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। যার ফলে এবার ইউনিসেফের  জানিয়েছে “ওমিক্রন বাড়লেও স্কুল বন্ধের চিন্তা সবার শেষে।

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এতে শিশুদের শিক্ষাজীবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বাজে প্রভাব পড়েছে তাদের স্বাস্থ্য ও পরিবারের ওপরও। তাই এবার স্কুল বন্ধ হওয়া সর্বনাশা হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের জেরে সারা বিশ্বে সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। নতুন উদ্বেগজনক এই ধরনটিকে বুঝতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এতে অনেক সরকারই স্কুল খোলা রাখা হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা করছে। এ অবস্থায় একটি জিনিস আমরা নিশ্চিতভাবে জানি: ব্যাপকভাবে স্কুল বন্ধের আরেকটি ঢেউ শিশুদের জন্য সর্বনাশা হবে।

তার কথায়, প্রমাণ স্পষ্ট: দীর্ঘায়িত, দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ; ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের জন্য সীমিত সম্পদ; দূরবর্তী শিক্ষার সুযোগের অভাব শিক্ষাখাতে কয়েক দশকের অগ্রগতি মুছে দিয়েছে। শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ ও মানসিক সমস্যাগুলো ছায়া মহামারির রূপ ধারণ করেছে।

হেনরিয়েটা ফোর বলেন, শিক্ষার সুযোগ হারানো ছাড়াও শিশুরা স্কুলের নিরাপত্তা, বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিদিন সশরীরে যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং অনেক ক্ষেত্রে দিনের একমাত্র পুষ্টিকর খাবারও হারিয়েছে।

করোনাকালে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, আর্থিকমূল্য বিচার করলে তার পরিমাণ সম্মিলিতভাবে ১৭ লাখ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ইউনিসেফের এ কর্মকর্তা। যার ফলে যতদিন সম্ভব দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ করা ঠেকিয়ে রাখা উচিত। তার কথায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে ও কঠোর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়লে স্কুলগুলো অবশ্যই সবার শেষে বন্ধ এবং ফের সবার আগে খুলতে হবে। সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম

Comments are closed.